Home জীবন ধারা সুন্দরগঞ্জে চরাঞ্চলবাসির নদী পারাপারের কঠিন দুর্ভোগ, একমাত্র ভরসা এখন বাঁশের টার

সুন্দরগঞ্জে চরাঞ্চলবাসির নদী পারাপারের কঠিন দুর্ভোগ, একমাত্র ভরসা এখন বাঁশের টার

0

বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মন , সুুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ উজানের ঢলে হু হু করে বাড়ছে তিস্তার পানি। ইতিমধ্যে তিস্তার শাখা, প্রশাখা, খাল, ডোবা, নালা সমুহ পানিতে কানায় কানায় ভরে গেছে। বিছিন্ন হয়ে গেছে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা। এখন চরাঞ্চলবাসির যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নৌকা, কলার গাছের ভেঁলা এবং বাঁশের টার। চরে তিস্তার ছোট ছোট শাখা, প্রশাখা ,নালা ও নদীতে বাঁশের টার দিয়ে পারাপার করছে চরবাসি। যেখানে নৌকা চলাচলের কোন উপায় নেই, সেখানে বাঁশের টার একমাত্র ভরসা।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চর হরিপুর গ্রামের তিস্তার শাখা নদীর একমাত্র ভরসা হচ্ছে বাশের টার। ওই টারের উপর দিয়ে ৪ গ্রামের লোকজন চলাচল করে। যে হারে পানির স্রোতে অব্যাহত রয়েছে, তাতে করে যে কোন মর্হুতে বাঁশের টারটি ধসে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বাঁশের টারটি ভেসে গেলে ওই ইউনিয়নের চর হরিপুর, ডাঙ্গার চর, ক্লিনিকে চর, চরমাদারি পাড়া গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে।

চর হরিপুর গ্রামের জরিফ মিয়া জানান, চরের প্রতিটি বাড়িতে পানি উঠেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পন্নরুপে বন্ধ হয়ে গেছে। চর হরিপুর গ্রামের তিস্তার শাখা নদীর উপর স্থানীদের স্বেচ্ছাশ্রমে এবং অর্থায়নে নির্মিত বাঁশের টারটি দিয়ে ওই এলাকার লোকজন কারেন্ট বাজার, চিলমারি , পাঁচপীর বাজারের যাওয়া আসা করছে। বাঁশের টারটি ভেসে গেলে চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বচল রাখার জন্য বাঁশের টারটি মজমুত করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসি।

হরিপুর ইউনয়নের নবনিবার্চিত চেয়ারম্যান মোজাহারুল ইসলাম জানান, চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক। সরকারের উন্নয়ন বঞ্চিত চরবাসি। বর্তমানে চরবাসি অসহনীয় কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিনাতি করছে। বিশেষ করে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যাওয়ায় চরবাসি নিদারুন কষ্টে রয়েছে। প্রতিবছর জনপ্রতিনিধি এবং এলাকাবাসির সহায়তায় তিস্তার ছোট ছোট শাখা ও প্রশাখা নদীর উপর বাঁশের টার, সাঁকো নিমার্ণ করা হয়। তীব্র স্রোতে ইতিমধ্যে অনেক সাঁকে এবং বাঁশের টার ভেসে গেছে। চরবাসির যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য প্রশাসনের পক্ষ হতে নৌকা সার্ভিসের ব্যবস্থা একান্ত প্রয়োজন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে চরাঞ্চলের লোকজনের চলাচলের জন্য কয়েকটি নৌকা দেয়া হয়েছে। তীব্র স্রোতের কারনে সাঁকো ও বাশেঁর টার এই মর্হুতে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

উপজেলা নিবার্হী মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, বানভাসিদের সহায়তায় সকল রকম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে ।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version