বর্ণমালা নিউজ ডেস্কঃ
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করা হয়।
এ মামলায় আজ বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল খারিজ করে এ রায় দেন।
আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
এসময় আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল ও অ্যাডভোকেট সগির হোসেন লিওন, অ্যাডভোকেট মো. মাকসুদ উল্লাহ।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম রাফেল।
এর আগে গত ৩ জানুয়ারি রুলের ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল কিন্তু ওইদিন চলতি সপ্তাহে (নট দিস উইক) নয় বলে মুলতবি করা হয়। ওইদিন ফখরুলের জামিন আবেদন দায়েরকারী আইনজীবীর পক্ষে এক আইনজীবীর সময়ের আর্জির পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট একই বেঞ্চ শুনানি মুলতবি করেন।
মামলাটিতে গত ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মির্জা ফখরুলের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করার নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। মির্জা ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। রাষ্ট্রপক্ষকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। রুল শুনানির দিন ধার্যের জন্য গত ১৭ ডিসেম্বর আদালতে আর্জি জানান মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা।
এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রুল শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি ধার্য করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় বিষয়টি কার্যতালিকায় ওঠে।
সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ওইদিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ আশপাশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরদিন ২৯ অক্টোবর হরতাল পালন করে বিএনপি।
ওই দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত জামিন ও রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান তাঁকে। সেদিন থেকেই কারাগারে আছেন বিএনপি মহাসচিব।
বর্ণমালা নিউজ।