Home রাজনীতি উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে না বিএনপি, অংশ নিলে শাস্তির হুঁশিয়ারি

উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে না বিএনপি, অংশ নিলে শাস্তির হুঁশিয়ারি

0
নিহত বিএনপি নেতা আব্দুল মতীনের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে যান রিজভী- ছবিঃ সমকাল

বর্ণমালা নিউজ ডেস্কঃ

আগামী উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করবেন, অতীতের মতোই ওইসব নেতাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।

সোমবার সকাল এগারোটায় বগুড়ার শেরপুরে পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে থাকা দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত বিএনপি নেতা আব্দুল মতীনের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের মান্দাইলে আব্দুল মতীনের গ্রামের বাড়িতে যান রুহুল কবির রেজভী। সেই সঙ্গে শোকাহত পরিবারের সদস্যদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানান এবং নিহতের স্ত্রী লাইলী বেগমের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, জেলা বিএনপির নেতা শহিদুর রহমান শহিদ, শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু, বিশালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আহম্মেদ, স্থানীয় বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, জহুরুল ইসলাম, আব্দুল মজিদসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। এছাড়া নিহতের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছেলে মিলন রহমান, মেয়ে মৌসুমী আক্তার, জামাই নাজিমুদ্দিন নাজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রেজভী নিহত আব্দুল মতীনের কবরে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ নভেম্বর শেরপুরে পুলিশ-আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। পরদিন ১৫ নভেম্বর বিশালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও একই ইউনিয়নের মান্দাইল গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মতিনসহ স্থানীয় উপজেলা বিএনপির ৬৭ জনের নামে বিস্ফোরণ ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা করা হয়। এরপর থেকে গ্রেপ্তারের ভয়ে ধান ক্ষেতসহ বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে থাকতেন তিনি। এরই একপর্যায়ে ২২ নভেম্বর রাতের কোনো একসময় দুর্বত্তরা তাকে পিটিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। পরদিন ২৩ নভেম্বর ভোরে বাড়ির পাশের ফসলি মাঠ থেকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান বিএনপি নেতা আব্দুল মতীন।

বর্ণমালা নিউজ। 

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version