Home স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভিন্ন রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

বিভিন্ন রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

0

বর্ণমালা নিউজ ডেস্কঃ

অনেকেই আছেন কথায় কথায় ওষুধ খান, ডাক্তারের কাছে দৌড়ান। কিন্তু বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যায় আপনার চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। কিছু নির্দিষ্ট খাবার ও পরামর্শ মেনে চললেই অনেক সমস্যা কেটে যায়। রোগ নিরাময়ের এ ব্যবস্থাকে ঘরোয়া প্রতিষেধক বলা হয়। তবে একটি কথা মনে রাখবেন, ওষুধের মতো চিকিৎসাক্ষেত্রে এসব প্রাকৃতিক বস্তু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে। যদি তেমন কোনো অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটে, তাহলে তা সঙ্গে সঙ্গেই বাদ দিতে হবে।

বেকিং সোডা
বেকিং সোডা ও পানির তৈরি মিশ্রণ শরীরের ছোট ছোট লাল ফুসকুড়ি, চিকেনপক্স (জলবসন্ত) অথবা লতাপাতার বিষ নাশ করে। এ দুই উপকরণে তৈরি পেস্ট পোকামাকড় এবং মৌমাছির কামড়ে খুবই কার্যকর। বেকিং সোডার ক্ষারত্ব চামড়ার চুলকানি বন্ধ করে।
টেপ
আপনি আঁচিল বা জডুলের মতো কুৎসিত বৃদ্ধি প্রক্রিয়া বন্ধ করতে পারেন অল্প কয়েক সপ্তাহ টেপ মুড়ে রেখে। এ জন্য আঁচিলের ওপর আঠালো টেপ চার ধাপে লাগাবেন। তা যেন এমন বায়ুরোধী হয় যে আপনার আঙুলে তা না সরে যায়। ছয় দিনের পরের অর্ধদিনে এটি খুলবেন এবং তখন নতুন আরেকটি প্রয়োগ করবেন। আঁচিল বা জডুল মিলিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত এ রকম করতে থাকবেন। সাধারণত এতে সময় লাগে ২ থেকে ১০ সপ্তাহ।
আদা
পাকস্থলীর ওপর আদার একটি স্বস্তিদায়ক প্রভাব রয়েছে। হাঁটাচলা করার সময় যাদের বমি বমি ভাব, বমি অথবা মাথা ঘোরে– আদার রস তাদের জন্য খুব কার্যকর। দু’কাপ পানিতে আদা মিশিয়ে চায়ের মতো খান। আদা দিয়ে তৈরি চা আপনার পাকস্থলীর জন্য ভালো। এ জন্য প্রতি কাপ চায়ে এক চা চামচ লেবু, লবঙ্গ নির্যাস এবং রোজমেরি সমানভাবে মেশান।
চায়ের ব্যাগ
চায়ের ট্যানিক এসিড এসট্রিনজেন্ট হিসেবে কাজ করে; যার ফলে ঘেমে দুর্গন্ধ হয় না, বরং পা শুকনো ও গন্ধহীন থাকে। এ জন্য দুটি চায়ের ব্যাগসহকারে এক পাইন্ট পানি ১৫ মিনিট ধরে ফুটান। তারপর তাতে দুই লিটার ঠান্ডা পানি মেশান। সপ্তাহে ২০-৩০ মিনিট তাতে পায়ের তালু ভিজিয়ে রাখুন।
রসুন
রসুনের রাসায়নিক উপাদান জীবাণু ধ্বংসের মাধ্যমে রোগ উপশম করে। ঠান্ডা, গলাব্যথা অথবা ফ্লুতে তা কাছে রাখুন। সঙ্গে দু-তিনটি লবঙ্গ যোগ করুন। সর্বোচ্চ উপশম ক্ষমতার জন্য বিশেষ স্যুপ তৈরি করতে পারেন। এ জন্য ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ সমৃদ্ধ (গাজর, ফুলকপি, সবজি, টমেটো, লাল ও সবুজ মরিচ) ভেজিটেবল স্যুপে রসুন, লবঙ্গ এবং আদা মেশান।

লেখক : মেডিকেল অফিসার, শহীদ আহ্‌সান উল্লাহ্‌ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, টঙ্গী।

 

বর্ণমালা নিউজ। 

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version