বর্ণমালা নিউজ ডেস্কঃ
১৯৯৭ সালে ‘মায়ার বাঁধন’ সিনেমা দিয়ে শুরু। ইন্ডাস্ট্রিতে ২৫ বছরের বেশি সময় পার করছেন। দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা। অভিনয়ের জন্য যেমন খ্যাতি পেয়েছেন তেমনি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও বহুবার সমালোচনার শিকার হয়েছেন। তাই অনেকই বলেন, আলোচনা-সমালোচনা দুই হাতে নিয়ে চলেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি।
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে রাজর্ষি দে পরিচালিত ‘সাদা রঙের পৃথিবী’। এতে দ্বৈত চরিত্রে দেখা গেছে শ্রাবন্তীকে। এই প্রথম একই সিনেমায় ইতিবাচক ও নেতিবাচক চরিত্রে দেখা গেছে তাকে। সিনেমার প্রচারে গিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের মুখোমুখী হন এই অভিনেত্রী।
এসময় শ্রাবন্তী বলছেন, ‘অভিনয় আমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে। অভিনয়ের মধ্যেই থাকতে চাই। প্রচুর স্ট্রাগলও করেছি। ১৬–১৭ বছরে মা হয়েছি। পরিবারের সাপোর্ট ছাড়া কিছুই করতে পারতাম না। কারণ, তখন আমি তো নিজেই ছোট। মা-দিদি-বাবা সবার সাহায্য ছাড়া কিছুই পারতাম না, এখনো তাই। ওদের সমর্থন ছাড়া এতটা দূর এগোতে পারতাম না। এটার জন্য নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হয়।
কথায় কথায় আসে সমালোচনার প্রসঙ্গও। প্রায়ই কারণে-অকারণে বিদ্রূপের শিকার হন শ্রাবন্তী। জীতু কমলের সঙ্গেও শ্রাবন্তীর সম্পর্ক নিয়ে কথা উঠেছিল অভিনেতার বিচ্ছেদের সময়।
এ বিষয়ে শ্রাবন্তীর ভাষ্য,সমালোচনা সবাইকে নিয়ে হয়। যার নাম আছে, তার বদনাম আছে। মানুষ হিসেবে একসময় এগুলো হলে খারাপ লাগত। এত লোকের তো এত কিছু হয়, কেন আমাকে নিয়েই এমন হচ্ছে, মনে হতো। আর জীতুর সঙ্গে আমার সম্পর্ক, লন্ডনে আমরা দুটো ছবির শুটিং করেছিলাম, যেখানে জীতুর সাবেক স্ত্রীও গিয়েছিল। ওর সঙ্গেও আমি অনেক ঘুরেছি। প্রচুর খাওয়াদাওয়া করেছি। যখন আমাকে নিয়ে এই কথা উঠেছিল, আমি খুব হেসেছিলাম। আমি জানি সত্যিটা কী। এ রকম কোনো ব্যাপারই নয়। লোকে যা ভাবছে ভাবুক। কারুর কারুর স্বভাব আছে, লোকজনকে নিয়ে সমালোচনা করার। এখন আর এসবে কিছু যায়-আসে না। কারণ, আমি জানি, জীবন খুব অনিশ্চিত। আজ আছি, কাল নেই। বর্তমানে বাঁচি।
বর্ণমালা নিউজ।