শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ নাম ব্যবহারে ফের কড়া নির্দেশ

0
331

বর্ণমালা নিউজ ডেস্ক:

সংক্ষিপ্ত নামের পরিবর্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ নাম ব্যবহার করতে ফের কড়া নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে একাধিকবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংক্ষিপ্ত নামের পরিবর্তে পূর্ণ নাম ব্যবহার করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো। তবে এখনো বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান সংক্ষিপ্ত নাম ব্যবহার করছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোকে পূর্ণ নাম ব্যবহার শুরু করে যথাযথ প্রমাণক জরুরিভিত্তিতে পাঠাতে বলেছে অধিদপ্তর।

অধিদপ্তর বলছে, কোনো প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ নাম ব্যবহার না করলে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না মেনে পূর্ণ নাম ব্যবহার না করা চাকরিবিধি লঙ্ঘনের সামিল বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর। বিষয়টি জানিয়ে অধিদপ্তর থেকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার চিঠিটি প্রকাশ করা হয়।

এর আগে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ সেপ্টেম্বর ও ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ নাম ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছিলো অধিদপ্তর।

অধিদপ্তর বলছে, কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্ষিপ্ত নাম ব্যবহার করে থাকলে তার পরিবর্তেম মূল নাম প্রতিষ্ঠানের প্যাড, মূল গেইট বা অন্য কোনো স্থানে লিখতে হবে। প্রতিষ্ঠানের প্যাড, মূল গেইট, অন্য যেকোনো স্থানে প্রতিষ্ঠাকাল লিখতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ নামাঙ্কিত মূল গেইটের ছবি তুলে পাঠাতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত নাম পরিবর্তন করে পূর্ণ নাম করার বিষয়ে ব্যানবেইস, শিক্ষা বোর্ড ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন করে নাম পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

গত ১৫ নভেম্বর অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, এখনও অনেক প্রতিষ্ঠান পূর্ণ নাম ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা প্রতিপালন করেননি, যা চাকরিবিধি লঙ্ঘনের সামিল। এক্ষেত্রে মাধ্যমিক পর্যায়ের যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনও প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ নাম ব্যবহার করছেন না (প্রাতিষ্ঠানিক ও অফিসিয়ালি) সেসব প্রতিষ্ঠানকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ নাম ব্যবহার করে যথাযথ প্রমাণকসহ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হলো।

অধিদপ্তর আরো জানিয়েছে, এ আদেশ জারির পরে প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ নাম ব্যবহার না করার বিষয়ে কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রতিষ্ঠান প্রধান ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন।

বর্ণমালা নিউজ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here