পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা নেমেছে ১২ ডিগ্রিতে, রাতে বাড়ছে শীতের তীব্রতা।

0
1059

বর্ণমালা ডেস্ক:

পঞ্চগড়ে রাতের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। এই তাপমাত্রা দেশের মধ্যেও সর্বনিম্ন। বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চলতি নভেম্বরের শেষ দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। রাতের তাপমাত্রা কমলেও বর্তমানে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে।

শীতের মৌসুমজুড়ে প্রায় প্রতিদিন পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। তবে সকাল ৮ টার মধ্যেই ঝলমলে রোদ্র ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। দিনে গরম আর রাতে কনকনে শীতের কারণে বাড়ছে রোগ বালাই। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুরা সর্দি, জ্বর, কাশি, নিউমনিয়া ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

জেলা শহরের রামেরডাঙ্গা মহল্লার রিকশাচালক ফরিদুল ইসলাম (৫৫) বলেন, কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যার পর থেকে খুব ঠান্ডা লাগছে। বেশি রাত করে আর রিকশা চালাতে পারি না। তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে যাই। তবুও সর্দি ও জ্বর দেখা দিয়েছে। ওষুধ খেয়ে জ্বর ছাড়লেও এখনো সর্দি লেগে আছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় সর্বনিম্নি ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এই তাপমাত্রা চলতি শীত মৌসূমের সর্বনিম্ন এবং দেশের মধ্যেও সর্বনিম্ন। প্রতিদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমছে এবং শীতের তীব্রতা বাড়ছে।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, দিনে গরম এবং রাতে শীতের কারণে প্রতি বছরের মতো এবারও শিশু ও বয়স্করা শীতজনিত নানা রোগ আক্রান্ত হচ্ছেন। এই সময়ে শিশুদের ধুলাবালি এড়িয়ে চলা দরকার। সন্ধ্যার পর কারণ ছাড়া বাইরে না থাকা এবং বাসি ও ঠান্ডা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

বর্ণমালা নিউজ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here