মোঃ ইব্রাহিম কমলনগর(লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলায় ৯নং তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চর পাগলা গ্রামে জরাজীর্ণ বসতঘরে মানবেতর জীবন-যাপন করছে অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধার পরিবার।
ভাঙা ঝুপড়ি ঘরে একটু বৃষ্টি হলেই পানির ফোটায় বিছানা ভিজে যায়। ভেজা বিছানায় বৃদ্ধা স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন বৃদ্ধ আলী হোসেন।
জানা গেছে, উপজেলার ৯নং তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মজিদ মাঝি বাড়ির মৃত শামসুল হকের এর ছেলে আলী হোসেন(৭০) তার বৃদ্ধা স্ত্রী সহ পরিবার একটি মোটামুটি ভালো আশ্রয়স্থলের অভাবে বহু বছর ধরে জরাজীর্ণ বসতঘরে মানবেতর জীবন-যাপন করে আসছেন।
বৃদ্ধ আলী হোসেন একজন অসহায় লোক। কোনো ভাবে মানুষের সহযোগীতা নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। বসত ভিটা ছাড়া তার নিজের আর কোন জমি নেই।
তার ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে তারা সবাই যে যার সংসার নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বসবাস করে। বর্তমানে বৃদ্ধা আলী হোসেনের বসত ঘরখানা খুবই জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। বসত ঘরের আংশিক ভাঙা পুরাতন টিন খড় নারিকেল পাতা ও পলিথিন দিয়ে ঢাকা। বর্ষার সময় ঘরের ছাউনি থেকে পানি পড়ে বাশঁ, খুটি, বিছানাসহ সব কিছু ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। একটু বন্যা হলেই ঘরটি পড়ে যাওয়ার আশস্কা রয়েছে।
ঝড় বন্যা হলে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয় বৃদ্ধ আলী হোসেন ও তার বৃদ্ধা স্ত্রীর। এ অবস্থায় বৃদ্ধ ও বৃদ্ধার খুবই মানবেতর ভাবে জরাজীর্ণ বসতঘরে জীবন-যাপন করছেন।
বৃদ্ধ আলী হোসেন এর স্ত্রী বৃদ্ধা বিবি আয়েশা জানান, আমি একজন গরীব অসহায় মহিলা। আমার স্বামী দিনমজুরী কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। বর্তমানে শারিরীক অসুস্থ্যতার কারনে কোনো কাজকর্ম করতে পারে না। আমার স্বামীর পৈতিক জমির উপর অতি পুরাতন এই ছোট ঘরে খুব কষ্টে বসবাস করিতেছি। বর্ষা কালে ঘরে পানি পড়ে বলে সারা রাত ঘরের এক কোনায় জেগে রাত কাটাতে হয় আমাদের। আর এই ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে বেশি করে অসুস্থ করে দিচ্ছে আমাদের। আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় ঠিক মত ঔষুধ কেনা হয় না আমাদের। বর্তমানে ভাঙা ঝুপড়ি নিয়ে বেশ চিন্তিত। কারণ রোদ বৃষ্টি কোনো মৌসুমেই ঠিক মতো থাকতে পারি না। আশ্রয়স্থল যদি ঠিক না থাকে তাহলে দিন রাত পার করা খুব মুসকিল। জীবন-যাপন করার জন্য মোটামুটি ভালো আশ্রয়স্থলের একটি বসতঘর আমাদের খুব প্রয়োজন।
স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানের কাছে বারবার একটি ঘরের জন্য বলা হলেও আজ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি।